মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর।মিনু গল্পের মূলভাব: সমাজ বিভিন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে অনেকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী এবং অনেকে অনেক সমস্যা নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। তাদের মধ্যে মিনু নামের একটি ছোট মেয়ে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তার মা-বাবা নেই। তাই বলে জীবনকে সে তুচ্ছ বলে মনে করে না।

বর্তমানে, মিনু একজন দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে থাকেন, যেখানে তিনি তার কাজ গুলো খুব মনোযোগ সহকারে করে। মিনুর প্রকৃতির সাথে গভীর সম্পর্ক রয়েছে, সকালের সূর্যের মৃদু স্পর্শে প্রশান্তি খুঁজে পায়। যখন সে একটি হলুদ পাখি দেখতে পায়, তখন সে আকাঙ্ক্ষার যন্ত্রণা অনুভব করে। পাশের বাসায় প্রবাসী কোনো এক পিতার আগমন লক্ষ করে সে মনে করে, তার নিজের বাবা একদিন ফিরে আসবে। মনে মনে মিনু তার বাবার আগমনের জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করছে, যদিও সে এখনও আসেনি। তবুও সে স্বপ্ন দেখতে থাকে। এই স্বপ্নগুলির মাধ্যমেই সে তার পথে আসা যে কোনও বাধা অতিক্রম করার শক্তি খুঁজে পায়।

মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন ১:

আবদুল মালেকের ঘর আলো করে জন্ম নিল এক ফুটফুটে কন্যাশিশু। মালেক ও তার স্ত্রী অনেক আদর করে কন্যার নাম রাখলেন সাবিনা। পাঁচ বছরের সাবিনাকে রেখে মা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। সেই থেকে মেয়েটি চুপচাপ। কারও সঙ্গে মেশে না, কথা বলে না, কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তরও দেয় না। আবদুল মালেক শত চেষ্টা করেও মেয়েকে স্বাভাবিক করতে পারছেন না।

প্রশ্ন

ক. মিনু কিসের সাহায্যে সব বুঝতে পারত?

খ. মিনু অবসর সময়ে ছাদে যেত কেন?

গ. উদ্দীপকের সঙ্গে মিনু গল্পের কোন দিকটির মিল রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. উদ্দীপকের ‘সাবিনা’ মিনু গল্পের মিনুর পুরোপুরি প্রতিচ্ছবি নয়—ব্যাখ্যা করো।

উত্তর

ক. মিনু ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের সাহাযে৵ সবকিছু বুঝতে পারত।

খ. কাঁঠালগাছের শুকনো ডালে হলুদ পাখিটা বসেছে কি না, তা দেখার জন্য মিনু ছাদে যেত। মিনুর বিশ্বাস, যেদিন কাঁঠালগাছে হলদে পাখি বসবে, সেদিন তার বাবা ফিরে আসবে। মিনু একদিন ছাদে দাঁড়িয়ে ছিল এবং কাঁঠালগাছের ডালে একটি হলুদ পাখি দেখতে পেল। সেদিনই পাশের বাড়ির টুনুর বাবা অনেক জিনিসপত্র নিয়ে বিদেশ থেকে এসেছিল।

গ. মিনু গল্পের মিনুর প্রিয়জন হারানোর দুঃখ ও বেদনার দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিটি শিশুই সঠিকভাবে বেড়ে ওঠে মা–বাবার আদর, স্নেহ-যত্নে। পৃথিবীতে মা–বাবার বিকল্প নেই। তাই মা–বাবার অনুপস্থিতি প্রতিটি শিশুর জন্যই অনেক কষ্টের। উদ্দীপকের সাবিনা ও মিনুর জীবনে একই কষ্ট। মা–বাবাহারা মিনু অনাথ শিশু। শ্রবণ ও বাক্প্রতিবন্ধী মিনুর আশ্রয় হয় তার এক দূর সম্পর্কের পিসিমার কাছে। সেখানে সে মনের আনন্দেই দিন কাটায়। তার পরও তার মা–বাবার কথা প্রতিনিয়তই মনে পড়ে। তার দৃঢ় বিশ্বাস, তার বাবা এখনো বেঁচে আছে এবং তার আরও বিশ্বাস, যেদিন কাঁঠালগাছটির সরু ডালটিতে হলুদ পাখিটি এসে বসবে, সেদিনই তার বাবা তার জন্য অনেক কিছু নিয়ে আসবে। দিনের পর দিন বাবাকে পাওয়ার আকুলতায় একসময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অন্যদিকে মাকে হারিয়ে সাবিনা বাকরুদ্ধ। সে কারও সঙ্গেই স্বাভাবিক হতে পারে না। যদিও গল্প এবং উদ্দীপকে প্রিয়জন হারানোর প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবু তারা দুজনই সম্পূর্ণভাবে না হলেও প্রিয়জন হারানোর দিক দিয়ে একে অপরের প্রতিচ্ছবি।

ঘ. উদ্দীপকের সাবিনা ও ‘মিনু’ গল্পের মিনুর জীবনের একটি জায়গায় মিল থাকলেও সাবিনা মিনুর পুরোপুরি প্রতিচ্ছবি নয়—এ কথা যথার্থ এবং সাবিনাকে মিনু চরিত্রের সার্থক প্রতিচ্ছবি বলা যাবে না।

‘মিনু’ গল্পের মিনু সর্বগুণে গুণান্বিত পিতৃ-মাতৃহীন এক বোবা বালিকা। সে পিসিমার বাড়িতে সব ধরনের সাংসারিক কাজে দক্ষতা অর্জন করেছে। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও তার কাজ সবাইকে হার মানায়। তার মধ্যে ষষ্ঠ ইন্দ্রিয়ের প্রভাব রয়েছে। সে এমন সব জিনিস বুঝতে পারে, এমন সব জিনিস মনে মনে সৃষ্টি করতে পারে, সাধারণ বুদ্ধিতে তার কোনো ব্যাখ্যা হয় না। সে আপন শক্তি দিয়ে তৈরি করে তার নিজস্ব জগৎ।

উদ্দীপকের সাবিনার মধ্যে এসব দিকের কোনোটিই নেই। বরং সাবিনা মাতৃশোকে কাতর হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপনের আগ্রহই হারিয়ে ফেলেছে। তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও ব্যর্থ। সে মিনুর মতো করে আপন সৃষ্টিশীলতা দিয়ে তার মনের কষ্টকে জয় করতে পারেনি।

সুতরাং বলা যায়, সামগ্রিক বিবেচনায় সাবিনা মিনু চরিত্রের সম্পূর্ণ প্রতিনিধিত্ব করে না।

সৃজনশীল প্রশ্ন ২ :

বন্যা সারা সকাল মিসেস সালমার বাসায় কাজ করে, তাকে খালাম্মা বলে ডাকে। সে মিসেস সালমার যাবতীয় কাজে সাহায্য করার চেষ্টা করে। দিবা শাখার একটি স্কুলেও সে পড়ে। পড়ালেখায় সে পিছিয়ে নেই। শুধু প্রকৃতির কোনো কিছুর সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠেনি; সে সময়ই বা তার কোথায়? তার নিজের জীবন আর কাজ নিয়েই সে ব্যস্ত। প্রকৃতিতে নয়, নিজের কাজেই সে শান্তি খুঁজে পায়। বন্যা তার কাজ দিয়ে, কথা দিয়ে মিসেস সালমাকে এমন করে নিয়েছে যে মিসেস সালমাও বন্যাকে পরিবারের অন্য সদস্যের মতোই মনে করে।

ক. মিনু কার বাড়িতে থাকত?
খ. ষষ্ঠ ইন্দ্ৰিয় বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. অবস্থানগত দিক থেকে উদ্দীপকের বন্যা ও মিনুর মধ্যে যে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়— তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘বন্যার শিক্ষা ছিল প্রাতিষ্ঠানিক, আর প্রকৃতি হচ্ছে মিনুর পাঠশালা’– কথাটি বিশ্লেষণ করো।

উত্তর

ক মিনু দূরসম্পর্কের পিসিমার বাড়িতে থাকত।

খ. ষষ্ঠ ইন্দ্ৰিয় বলতে পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাইরে একটি বিশেষ দিক অর্থাৎ মনকে বোঝানো হয়েছে।
প্রত্যেক মানুষেরই পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে। লেখক এই পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাইরে মানুষের ভেতরে এক প্রকার অদৃশ্য অনুভূতির কথা বলেছেন। সে অনুভূতির উৎস হলো মানুষের মন বা হৃদয়। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলতে এই মনকেই বোঝানো হয়েছে।

গ. শারীরিক অক্ষমতা এবং মানসিক অবস্থার বিচারে উদ্দীপকের বন্যা ও মিনুর মধ্যে বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।
‘মিনু’ গল্পের মিনু বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী মেয়ে। বাবা-মা না থাকায় দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাসায় থাকে। সে বাড়ির সকল কাজ মনোযোগ দিয়ে করে । তার কোনো সঙ্গী না থাকায় প্রকৃতির সঙ্গেই গড়ে উঠেছে সখ্য। যে স্বপ্ন দেখে তার বাবা একদিন ফিরে আসবে। আর এই স্বপ্নই তাকে সকল প্রতিকূলতা অতিক্রম করতে সাহায্য করে।

উদ্দীপকের বন্যা যে বাসায় কাজ করে, সেই বাসার সে সদস্যের মতো হয়ে উঠছে। সে স্কুলে পড়ে, নিজের জীবন ও কাজ নিয়েই তার ব্যস্ততা। পারিবারিকভাবেও সে সবার সাথে মিশে গেছে, কিন্তু মিনু তা পারেনি। কাজ আর আত্মভাবনায় ডুবে থাকে মিনু। বন্যার তেমন দুঃখ না থাকলেও মিনুর মধ্যে বাবার জন্যে প্রতীক্ষার কষ্ট লক্ষ করা যায়। তাই দুজনের মধ্যে অবস্থানগত বৈসাদৃশ্য লক্ষ করা যায়।

ঘ. বন্যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করলেও মিনু শিক্ষা লাভ করেছে প্রকৃতি থেকে।

‘মিনু’ গল্পে মিনু একই সাথে বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং পিতামাতা হারা এতিম। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা না পাওয়ায় প্রকৃতিকেই সে আপন করে নিয়েছে। মনে মনে সে সৃষ্টি করেছে কল্পনার জগৎ। ভোরবেলার নতুন সূর্যকে নিজের জ্বালানো চুল্লির সঙ্গে তুলনা করতেই তার ভালো লাগে। হলদে পাখি দেখে তার মনে পুলক জাগে। ভোরের শুকতারাকে সে নিজের সই বানিয়েছে, কেননা এত ভোরে সেই তাকে সঙ্গ দেয়। প্রকৃতি থেকেই সে প্রতিনিয়ত শিক্ষালাভ করে।

অন্যদিকে উদ্দীপকের বন্যা বাড়ির কাজ করলেও সে পেয়েছে গৃহকর্তার ভালোবাসা। সে স্কুলে গিয়ে শিক্ষালাভের সুযোগ পায়। পরিবারের সদস্যের মতোই জীবন অতিবাহিত করে। তাই তাকে প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

অর্থাৎ বন্যা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভের সুযোগ পেলেও মিনুর ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। সে বিরূপ সমাজে বসবাস করায় মানুষের সহানুভূতি পাচ্ছে না। আর তাই পাঠশালারূপ প্রকৃতি থেকেই মিনু শিক্ষা লাভ করেছে । প্রকৃতি তার নিয়মের মাধ্যমে মিনুকে শিক্ষা দিয়ে চলেছে।

সৃজনশীল শুধু প্রশ্ন

সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ :

পল্লিপ্রকৃতির কোলে বেড়ে ওঠা বিধবা মায়ের ডানপিটে সন্তান ফটিক। নতুনের আকর্ষণে সে চলে আসে কলকাতার মামা বাড়িতে। কিন্তু মামি তাকে মোটেও আপন করে নিতে পারে নি; বরং অনাবশ্যক ঝামেলা মনে করে তাকে স্নেহ থেকে বঞ্চিত করে। একদিকে প্রকৃতির টান ও মায়ের ভালোবাসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অন্যদিকে মামির অবহেলা, অনাদর ও তিরস্কার তার মনকে পীড়িত করে। ফলে এ পৃথিবী থেকে তাকে অসময়ে বিদায় নিতে হয়।

ক. মিনুর বয়স কত?
খ. শুকতারাকে মিনু সই মনে করে কেন?
গ. উদ্দীপকের ফটিক ও ‘মিনু’ গল্পের মিনুর মধ্যে বৈসাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘ফটিক ও মিনুর পরিণতি ভিন্ন হলেও উভয়ের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ছিল প্রতিকূল।’- উক্তিটির যথার্থতা যাচাই করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ :

টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মিন্টু নামের ছেলেটির ডান হাত অবশ হয়ে গিয়েছে। তার বয়স মাত্র ছয় বছর। বাবা বুড়ো, অকর্মণ্য। অভাবের মধ্যেই সংসারে তার মা তাকে খুব কষ্ট করে লালন-পালন করছে। মা-বাবার কষ্ট দেখে মিন্টু বাধ্য হয়ে একটি কারখানায় কাজ করে। মাইনে যা পায় তা দিয়ে মা-বাবার মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করে। পাশাপাশি মিন্টু লেখাপড়াও চালিয়ে যায় অদম্য আগ্রহে। বাম হাত দিয়ে পরীক্ষা দিয়েই মিন্টু একসময় এসএসসি পরীক্ষা পাস করে একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি নেয়।

ক. ‘রোমাঞ্চিত’ শব্দের অর্থ কী?
খ. পিঁপড়েদের সঙ্গে মিনুর কী রকম সম্পর্ক?
গ. উদ্দীপকটি কোন দিক থেকে ‘মিনু’ গল্পের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. মিন্টু ও মিনু তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে নিয়েছে’— উক্তিটি উদ্দীপক ও ‘মিনু’ গল্প অবলম্বনে বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ :

মারাত্মক এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিতুর মা-বাবা উভয়েই মারা যান। এরপর দাদুর কাছেই বড় হতে থাকে নিতু। প্রতিদিন আকাশের তারাদের সঙ্গে কথা বলে সে। জানতে চায় কবে আসবে তার মা-বাবা। দাদু তাকে আকাশের সাতটি তারা দেখিয়ে বলেন, যেদিন ওই সাতটি তারা মাটিতে নেমে আসবে সেদিন তার মা-বাবাও ফিরে আসবে।

ক. ভিমরুল মেরে মিনু কাদের খেতে দিত?
খ. মিনু কেন ভাবত তার বাবা ফিরে আসবে?
গ. উদ্দীপকের নিতু ও ‘মিনু’ গল্পের মিনুর মধ্যে সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘নিতু নয়, মিনুই জীবনে বেশি কষ্ট পেয়েছে’— উদ্দীপক ও ‘মিনু’ গল্পের আলোকে উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ :

স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানিককে তার চাচার সাথে কলকাতা পাঠিয়ে দেন মানিকের মা। চাচা তাকে আদর করলেও চাচি কিন্তু মানিককে ভালোভাবে মেনে নিতে পারেনি। ব্যস্ত শহরে সবসময় মানিক তার মায়ের কথা চিন্তা করত। মায়ের প্রতি এই টান আর চাচির অনাদর মানিকের উপর মারাত্মক মানসিক চাপ ফেলে । শেষ পর্যন্ত মানিক পৃথিবী থেকেই চলে যায়।

ক. ‘কালা’ শব্দের অর্থ কী?
খ. শুকতারা দেখে মিনুর মুখে হাসি ফুটে উঠত কেন?
গ. মায়ের প্রতি মানিকের টান ‘মিনু’ গল্পের মিনুর যে দিকটি তুলে ধরে তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মিনু ও মানিকের মানসিক অবস্থা কাছাকাছি হলেও পরিণতি ভিন্ন’– মূল্যায়ন করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ :

জারিফার মা বেঁচে নেই। বাবাও মারা গেছে অনেক আগেই। জারিফা থাকে তার এক চাচার বাসায়। কিন্তু চাচির অযত্ন ও অবহেলা তার সহ্য হয় না। মন বারবার ছুটে যায় মায়ের কাছে। মায়ের জন্য মনটা ওর কেঁদে উঠে। মায়ের কথা ভাবতে ভাবতে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় মাকে কাছে না পেয়ে সে শেষ পর্যন্ত মারা যায়।

ক: মিনু কখন ঘুম থেকে ওঠে?
খ. মিনুর দৃষ্টিতে গদাই আর শানুর পরিচয় দাও।
গ. উদ্দীপকের জারিফা ও ‘মিনু’ গল্পের মিনুর মধ্যে সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘জারিফা ও মিনুর বেড়ে ওঠার পরিবেশ বেদনাদায়ক হলেও উভয়ের পরিণতি এক নয়’ – উক্তিটির যথার্থতা যাচাই – করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ :

সুভা বাক্‌প্রতিবন্ধী। সুভার গুটিকয়েক বন্ধু ছিল। গোয়ালের দুটো গাইকে সুভা কখনো আদর করছে, কখনো ভর্ৎসনা করছে আর কখনো মিনতি করছে তা আর কেউ না বুঝলেও গাই দুটো বুঝত। তার আরেকটি বন্ধু ছিল— বিড়ালছানা। সে প্রায়ই সুযোগ পেলেই সুভার স্নেহমাখা কোলখানা দখল করে সুখনিদ্রার আয়োজন করত।

ক. ‘সই’ শব্দের অর্থ কী ?
খ. মিনু তার বাবার ফিরে আসার স্বপ্ন দেখত কেন?
গ. গল্পের মিনুর সাথে সুভা চরিত্রের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘মিনুর সাথে সুভার মিল আছে; তবে অমিলও কম নয়।’ বিশ্লেষণ করো।

আজকের পোস্টে ষষ্ঠ শ্রেণীর মিনু গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর শেয়ার করেছি।আশা করি অনেক উপকারে আসবে।নতুন নতুন কমন উপযোগী প্রশ্ন পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top