এসআই নিয়োগ পরীক্ষা প্রস্তুতি:বাংলাদেশে, পুলিশ বাহিনীর মধ্যে চারটি ভিন্ন পদ রয়েছে: কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট (ট্রাফিক), এবং সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)। এর মধ্যে, প্রথম রাঙ্কের তৃতীয় শ্রেণী হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়, যখন দ্বিতীয় এবং তৃতীয় রাঙ্কের দ্বিতীয় শ্রেণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং চতুর্থ রাঙ্কেকে প্রথম শ্রেণীর সরকারি চাকরি হিসেবে গণ্য করা হয়। প্রথম তিনটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া পুলিশ সদর দপ্তর দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে এএসপি পদে নিয়োগ করা হয় পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। নতুন প্রবিধান বাস্তবায়নের ফলে, মেধা ও শারীরিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে যোগ্যতর লোক বাংলাদেশ পুলিশে সুযোগ পায়।
প্রতি বছর, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদের জন্য উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হয়। এই ভূমিকার জন্য অনেক সংখ্যক উচ্চাকাঙ্ক্ষী চাকরিপ্রার্থীদের আকর্ষণ করে যারা প্রশাসনিক ক্ষেত্রে একটি ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ পুলিশের মধ্যে একটি অপরিহার্য পদ সাব-ইন্সপেক্টর এবং একজন সাব-ইন্সপেক্টরের দায়িত্বও অনেক।
এসআই পদের জন্য আবেদনের যোগ্যতা
এসআই পদের জন্য আবেদনকারীর ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে। কম্পিউটারের অভিজ্ঞতা থাকাও আবশ্যক। আবেদনকারীদের অবশ্যই বাংলাদেশী নাগরিক হতে হবে যারা বিবাহিত নয়। সাধারণ প্রার্থীদের বয়স ১ এপ্রিল, ২০১৯ অনুযায়ী ১৯-২৭ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বয়স ১৯-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
এসআই নিয়োগ প্রার্থী বাছাই।এসআই নিয়োগ পরীক্ষা প্রস্তুতি
আবেদনকারীরা তাদের উচ্চতা এবং ডিগ্রি/স্নাতক বা তুলনামূলক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে যোগ্যতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করলে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষার জন্য যোগ্য হবে।নিয়োগের ঘোষণা সাধারণত প্রতি বছর মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে প্রকাশিত হয়। শুধুমাত্র স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারীরাই এসআই পদের জন্য যোগ্য। নিয়োগ বাছাই পরীক্ষার চারটি প্রাথমিক পর্যায় রয়েছে: (ক) শারীরিক পরীক্ষা (খ) লিখিত পরীক্ষা (২২৫ নম্বর) (গ) মৌখিক পরীক্ষা (১০০ নম্বর) এবং (ঘ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন (ভিআর)। শুধুমাত্র একজন প্রার্থী যিনি সফলভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায় সম্পন্ন করেন তাকে অবশেষে এসআই হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এসআই নিয়োগ শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা
শারীরিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পুরুষ আবেদনকারীদের কমপক্ষে ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা হতে হবে। এছাড়াও, তাদের বুকের আকার প্রসারিত হলে ৩২ ইঞ্চি এবং স্বাভাবিক অবস্থায় ৩০ ইঞ্চি হতে হবে। অন্যদিকে, মহিলা প্রার্থীদের কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি লম্বা হতে হবে।
আবেদনকারীদের ওজন তাদের উচ্চতা এবং বয়সের মিল থাকতে হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই দৌড়ানো, লাফ দেওয়া এবং ছাদে আরোহণের মতো ব্যায়াম করতে হবে। প্রার্থী লিখিত পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্য হবেন যদি তারা সফলভাবে এই অ্যাসাইনমেন্টগুলি সম্পন্ন করেন। অবিবাহিত হওয়া এসআই নিয়োগ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত, এটি উল্লেখ করা প্রয়োজন।
এসআই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা
যোগ্য প্রার্থীরা বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই নিরস্ত্র) পদে চাকরির জন্য শারীরিক পরিমাপ এবং শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ মার্কস এর জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় এর ওপর পরীক্ষা দিতে হয়, যেমন (ক) ইংরেজি এবং বাংলা রচনা বিভাগ ১০০ নম্বর (খ) সাধারণ জ্ঞান ও পার্টি গণিতে ১০০ নম্বর (গ) মনস্তত্ত্বে ২৫ নম্বর। পুরো পরীক্ষাটি তিন দিনের মধ্যে নেয়া হয় এবং মোট ২২৫ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে।
লিখিত পরীক্ষার সাজেশন
এসআই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য, প্রার্থীদের বাংলা বিভাগে ফোকাস করা উচিত।বাংলায় মোট ৫০ নম্বর রয়েছে। সাধারণত, প্রবন্ধ লেখার জন্য ১৫ নম্বর, অভিব্যক্তি সম্প্রসারণের জন্য ১০ নম্বর, একক শব্দের অভিব্যক্তির জন্য ৫ নম্বর, অর্থ সহ বাক্য গঠনের জন্য ৫ নম্বর এবং বাংলা অনুবাদের জন্য ১৫ নম্বর বরাদ্দ করা হয়। লিখিত পরীক্ষার জন্য অধ্যয়ন করার সময় এই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া অপরিহার্য।
বাংলা এসআই নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার সাজেশন
বাংলা বিষয় সফল হতে চাইলে ব্যাকরণ অংশ টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে ষষ্ট থেকে দশম শ্রেণীর পাঠ্য বইয়ের ব্যাকরণ ভালোভাবে আয়েত্ত করতে হবে।ব্যাকরণের অংশগুলি মধ্যে যে যে বিষয় আপনারা বেশি বেশি পরবেন তা হলঃ এক কথায় প্রকাশ, অনুবাদ, বানান শুদ্ধি,কারক, বিভক্তি, শব্দ, ভাষা, সন্ধিবিচ্ছেদ, সমাস, সমার্থক শব্দ, বাগধারা এবং বাক্যসংকোচন। এর হ্যা আপনাকে বানান যাতে ভুল না হয় পরীক্ষার সময় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।আপনাদের আরও সুবিধার জন্য আমরা ছক আকারে বাংলা এসআই নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার সাজেশন ২০২৩ নিচে দেয়া হলঃ
রচনায় ১৫ নম্বর |
ভাবসম্প্রসারণে ১০ |
এককথায় প্রকাশে ৫ |
অর্থসহ বাক্য রচনায় ৫ |
বাংলা অনুবাদে ১৫ নম্বর। |
ইংরেজি এসআই নিয়োগ লিখিত পরীক্ষার সাজেশন
এসআই নিয়োগ না টেকার অন্যতম কারন ইংরেজিতে ভালো না করা।যারা চাকরির পরীক্ষায় না টীকে তাদের মধ্যে ৮০% ইংলিশে খারপ মার্কস পায়।এসআই লিখিত পরীক্ষার ইংরেজি বিষয় ভালো মার্কস আনার জন্য, রচনা বিষয় কে গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি ব্যাকরণের ওপরো ভাল নজর দিতে হবে। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ব্যাকরণ বই পড়তে হবে, কারন ইংরেজি এসআই নিয়োগ লিখিত পরীক্ষায় নির্দিষ্ট কোন সাজেশন নেই।Article, Parts of Speech, Correct Spelling,Tense, Voice, Antonym, Narration, Translation, Noun এই বিষয় গুলো ভালো করে আয়ত্ত করতে হবে।এগুলো মধ্য থেকে প্রশ্ন আসার অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।
এসআই লিখিত পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগে ৫০ মার্কস রয়েছে, Essay, Letter বা Fill in the Blank থাকতে পারে।তবে আপনাকে গ্রামার নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে। প্রার্থীদের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ইংরেজি ব্যাকরণ বই বেশি বেশি করে পড়তে হবে।
Tense |
Voice |
Article |
Parts of Speech |
Correct Spelling |
Antonym |
Narration |
Translation |
Noun |
এসআই সাধারণ জ্ঞান লিখিত পরীক্ষার সাজেশন
এসআই লিখিত পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে বাংলাদেশ ও বিশ্ব বিষয়ক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এসআই সাধারণ জ্ঞান লিখিত পরীক্ষায় ভাল পারফর্ম করার জন্য আপনাদের নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ার এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বর্তমান ইভেন্টগুলির খবরা-খবর রাখতে হবে। বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পরিবেশের মতো বিষয়ে জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, জেলার আকার এবং অর্থনীতিসহ অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, গুরুত্বপূর্ণ তারিখ, এবং সাম্প্রতিক ইভেন্টগুলি জানা জরুরী।
লিখিত পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান বিভাগে বাংলাদেশী এবং আন্তর্জাতিক উভয় বিষয়কে লক্ষ্য করে প্রশ্ন করা হয়।সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নগুলির জন্য ৫০ নম্বর । এই অংশে ভাল করার জন্য নিয়মিত সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ। প্রার্থীদের অবশ্যই বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ লেখার চর্চা করতে হবে এবং পরীক্ষার জন্য একটি নোট করতে হবে যে যে বিষয় গুলো গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, সে গুলো নোট করে রাখতে হবে।এসাধারণ জ্ঞানের জন্য পর্যাপ্তভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য, গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলির পাশাপাশি পুলিশ, মুক্তিযুদ্ধ এবং তথ্যপ্রযুক্তি-সম্পর্কিত অসংখ্য বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নে ১০ নম্বর |
টীকায় ১০ নম্বর |
রচনামূলক প্রশ্নে ৩০ নম্বর |
আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি এবং পরিবেশ সম্পর্কে দৃঢ় ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ জ্ঞান বিভাগের বাংলাদেশ অংশের দেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, জলবায়ু, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, জেলা এলাকা এবং অর্থনীতির প্রশ্ন রয়েছে। আন্তর্জাতিক অংশে, প্রার্থীরা বিভিন্ন দেশের মুদ্রা, উল্লেখযোগ্য তারিখ, পুরষ্কার এবং সম্মান এবং সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে প্রশ্ন আস্তে পারে। সাধারণ জ্ঞান জন্য কার্যকরভাবে প্রস্তুতির জন্য, নিয়মিত বাজার নির্দেশিকা বইয়ের পাশাপাশি জাতীয় দৈনিকগুলি পড়াবেন। এটি করার মাধ্যমে, প্রার্থীরা প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করতে পারেন এবং পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান ভালো মার্কস অর্জন করতে পারবেন।
এসআই গণিত লিখিত পরীক্ষার সাজেশন
এসআই গণিত লিখিত পরীক্ষায় ৫০ মার্কস থাকবে। প্রার্থীরা যদি এই বিভাগে ভাল করতে চান তবে ষষ্ট শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীর গণিত পাঠ্যপুস্তক আনুসরন করতে হবে।
এস আই মৌখিক পরীক্ষা
মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সিলেবাস নেই।প্রার্থীর স্নাতক পর্যায়ে যেসকল বিষয় নিয়ে আপনি পড়েছেন ঐসকল বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। তাছাড়া আপনার স্থানীয় জেলা বা উপজেলা সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে,কারন ভাইভাতে আপনাকে আপনার জেলা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির নাম, এলাকা, জনসংখ্যা, এমপিদের নাম এবং তাছাড়া আরও অনেক বিষয় প্রশ্ন করতে পারে । মৌখিক পরীক্ষায় সফল হতে চাইলে আপনাকে বর্তমান স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলী এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কেও জ্ঞান থাকতে হবে।
আপনার জেলায় ঘটে যাওয়া অনেক মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা জানা মৌখিক পরীক্ষার সময় মনোযোগ দেওয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত অঞ্চল সম্পর্কে সচেতন হওয়া, আপনার পরিবারে কোন মুক্তিযোদ্ধা ছিল কিনা এবং উল্লেখযোগ্য কিছু মুক্তিযোদ্ধাদের নাম। দেশের জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দৃঢ় উপলব্ধি থাকলে মৌখিক পরীক্ষায় আপনার সাফল্য উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে।
সুন্দর করে কথা বলা এবং মার্জিত পোশাক উপস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় গুলো আপনাকে মাথায় রাখতে হবে।যতটা সম্ভব সুন্দর করে নিজেকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে।
স্বাস্থ্য ও ভিআর পরীক্ষা
বাছাই করা প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশ যাচাইকরণ (ভিআর) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশ যাচাইকরণ (ভিআর) ফর্মটি এই নির্বাচিত ব্যক্তিদের দ্বারা পূরণ করা হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন (VR) সফলভাবে যে সকল প্রার্থী ঠিক ভাবে টিকে যাবে, তদেরকে এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হবে।
সুযোগ-সুবিধা
“সরকারি বেতন স্কেল-২০১৫” অনুসারে, ১০তম গ্রেড স্তরের একজন সাব-ইন্সপেক্টরের মাসিক বেতন ১৬০০০ থেকে ৩৮৬৪০ টাকা । তারা অন্যান্য সুবিধা এবং ভাতাও পায়, যার ফলে প্রায় ৩০০০০ টাকা তাদের প্রাথমিক মাসিক বেতন হয়।
অধিকন্তু, সাব-ইন্সপেক্টররা ঈদ, পূজা বা বৈশাখের প্রথম দিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বাৎসরিক উপলক্ষ্যে উৎসব ভাতা পেয়ে থাকে। এছাড়াও, সময়ের সাথে সাথে তাদের বেতন ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। যদি যোগ্যদের জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে যোগ্য আবেদনকারীরা বিদেশে মিশনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়। UN Formed Police Unit (FPU) মিশনের জন্য একটি বার্ষিক ভাতা রয়েছে যা ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। অধিকন্তু, সাব-ইন্সপেক্টরদের তাদের কর্মজীবনে পদোন্নতি সুযোগ রয়েছে এবং অতিরিক্ত এসপি বা অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের মতো পদে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের অনেক গুলো পদের মধ্যে এসআই পদ খুব গুরুত্বপূর্ণ পদ।যার ফলে সাধারণত টেকা একটু কঠিন হয়ে যায়।তবে আশা করি আমরা যে এস আই লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি প্রশ্ন ও সমাধান শেয়ার করেছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।